মুড সুইং কী- মুড সুইং এর কারণ-লক্ষণ ও প্রতিকার

মানুষ মাত্রই শরীর এবং মনের সমন্বয়। অর্থাৎ দেহ বাদ দিয়ে যেমন মানুষ হয়না ঠিক তেমনি মনকে বাদ দিলেও পরিপূর্ণ মানুষ হওয়া সম্ভব নয়।তাই সর্বদা একজন মানুষের দৈহিক এবং মানুষিক স্বাস্থ্যর প্রতি যত্নবান হওয়া উচিৎ।তবে উদ্বিগ্নতার বিষয় হলো এই যে আমরা আমাদের শারীরিক সমস্যা নিয়ে যতটা উদ্বিগ্ন এবং তা নিরাময়ে যে পরিমাণ কার্যকর ভূমিকা পালন করি তার এক ভাগ ও মানুষিক স্বাস্থ্য সচেতনতায় দেখায় না।যার ফলস্রুতি মুড সুইং শব্দটার সাথে আমরা কম বেশি পরিচিত হলেও এর সম্পর্কে খুব একটা জানিনা। তাই আজ আমরা জানবো মুড সুইং কী- মুড সুইং এর কারণ-লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।


মুড সুইং কী-কারণ-লক্ষণ ও প্রতিকার

আধুনিকতার ছয় যেন আমাদের নতুন জেনারেশন মুড সুইং এর মত জটিল সমস্যায় মারাত্মকভাবে প্রতিনিয়তায় ভুগছে। তবে তাদের অধিকাংশ স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাবে মোট সৈনিক সম্পর্কে অবগত নয়। যার ফলাফল দিনের পর দিন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকার ফলে পড়াশোনা সহ কর্মময় জীবন এবং পারিপার্শ্বিক উন্নতিময় কাজ থেকে খারাপ ভাবে পিছিয়ে পড়ছে। তাই আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করে মুড সুইং কী- মুড সুইং এর কারণ-লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে সুস্থ থাকা অত্যন্ত জরুরী।

সূচীপত্রঃমুড সুইং কী-মুড সুইং এর কারণ-লক্ষণ ও প্রতিকার

ভূমিকা

 বর্তমান বিশ্বে মোট সুইং যেন বাসা বেঁধে চলেছে প্রতিনিয়ত। এই ভালো তো এই খারাপ মনের ভেতর চলতে থাকা এই চক্রাকার সমস্যার যা তা কলে এখন প্রায় প্রতিটি মানুষের কি কি যুবক যুবতী কে বৃদ্ধ প্রত্যেকের যেন এই সমস্যায় জর্জরিত। তবে বিষয়টি ততক্ষণ সমস্যা নয় যতক্ষণ না এটি দীর্ঘস্থায়ী হয়। যদি সমস্যাটি দীর্ঘস্থায়িত্বের রূপ লাভ করে তবে অবশ্যই ইউটিউব উদ্বিগ্নতার বিষয়। সেক্ষেত্রে তা মুড সুইং বলে গণ্য গুণ করা মোটেই অনুচিত হবে না।আর তাই সচেতনতা বাড়াতে মুড সুইং কী- মুড সুইং এর কারণ-লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে অন্যদের মাঝেও সচেতনতার বৃদ্ধি করা উচিত। আসুন তবে জেনে নেই মুড সুইং কী- মুড সুইং এর কারণ-লক্ষণ ও প্রতিকার সম্বন্ধে আদ্যপ্রান্ত।

মুড সুইং কী

 প্রতিটা মানুষের আবেগ এবং অনুভূতির জায়গা থেকে মন খারাপ বা খারাপ লাগা আসতে পারে এবং তা হতে পারে কয়েক দিন বা কয়েক ঘন্টা। তবে হঠাৎ করে ভালোলাগা কিংবা খারাপ লাগা অথবা যদি কোন কারণ ছাড়াই কান্না আসে এবং তা সাত দিন কিংবা আরও দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং একটি নির্দিষ্ট সময় পরেও যদি তা চলতে থাকে তবে মুড সুইং বলে গণ্য হবে। অর্থাৎ কোন কারণ ছাড়াই হঠাৎ কোনো অনুভূতির সঞ্চার ঘটলে এবং তা প্রতিনিয়তই ঘটতে থাকলে তাকে মুড সুইং এর অন্তর্ভুক্ত করা যাবে। মুড সুইং মূলত মেন্টাল ডিসঅর্ডার এর একটি কারণ।

মুড সুইং হয় কেন

অনেক সময় মেন্টাল ডিজ অর্ডারের কারণে হয়ে থাকে। তাছাড়া মানসিক চাপ ,শারীরিক অসুস্থতা, পরিবেশের তারতম্য, পারিবারিক কলহ, অপর্যাপ্ত ঘুম, হরমোনাল সমস্যা, মেনুফজ ইত্যাদি কারণে মুড সুইং হয়ে থাকে। তাছাড়া পর্যাপ্ত পুষ্টি এবং মানুষের অভাব, ও নিয়মিত খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদিও মোট ফ্রেন্ডের কারণের অন্তর্ভুক্ত।

মুড সুইং ভালো নাকি খারাপ

কি খারাপঅনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে, মুড সুইং ভালো নাকি খারাপ?এর প্রেক্ষিতে বলা যায় যে একজন মানুষ হিসেবে মনের পরিবর্তন হতেই পারে।তবে হঠাৎ ই মন খারাপ বা বিষন্ন লাগা কিংবা কান্না পাওয়া এসব যদি দীর্ঘমেয়াদী হয় এবং নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তবে অবশ্যই মানসিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে কিছু ক্ষেত্রে কাউন্সিলিং করানোর প্রয়োজন হতে পারে। কেননা দীর্ঘমেয়াদি মুড সুইং কল্যাণের চেয়ে বরং অকল্যান এই বয়ে নিয়ে আসে সর্বাপেক্ষা।

মেয়েদের মুড সুইং কি

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় মেয়েরাই মোটসইং এর শিকার হয় অধিক সংখ্যক। মানসিক সমস্যা, পারিপার্শ্বিক সমস্যা, বিভিন্ন চাপ থেকে নার্সিং এর সমস্যা দেখা দিলেও মেয়েদের হরমোনাল প্রবলেম এবং মেনোপজ এর সময় মুড  সুইং দেখা দিতে পারে। হরমোনাল ইনভালেন্ট নার্সিং এর জন্য অনেকটাই দায়ী। 

আরো পড়ুনঃউচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনের উপায়

সেই সাথে মেয়েদের যখন মেনোপজ হয় তখন তাদের মানসিক চাপের সৃষ্টি হয় যাতে বিরক্ত অশান্তি বোধ ইত্যাদি হতে পারে। এবং এই সময়েই মুড সুইং এর সমস্যায় বেশি ভুতে থাকেন তারা। তাছাড়া গর্ভকালীন সময়ে মেয়েদের ক্ষেত্রে দেখা যায় নানা হরমোনের সমস্যা। যার ফলে মেয়েরা মোঙ্গে আক্রান্ত হয়ে থাকে।

ছেলেদের কি মুড সুইং কি

অনেকের ধারণা মুড সুইং এ কেবল এবং কেবলমাত্র মেয়েরাই আক্রান্ত হয় অথবা মুড সুইং কেবলই মেয়েদের রোগ।তবে অবাক করা বিষয় হলেও সত্যি যে মুড সুইং এ ছেলেদের আক্রান্তের সংখ্যায় ও নেহায়েত কম নয়।ছেলেদের মুড সুইং এর কারণ বিভিন্ন হয়ে থাকে।যেমনঃপারিপার্শ্বিক পরিবেশ,মানষিক চাপ,উদ্বিগ্ন,ধূমপান-নেশার প্রতি আসক্ত,শারিরীক অসুস্থতা ইত্যাদি।

মুড সুইং থেকে মুক্তির উপায়

মুড সুইং কে অনেকেই গুরুত্বের সাথে নিতে চাননা।তবে মনে রাখতে হবে মুড সুইং এর লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই এর থেকে মুক্তির পদ্ধতি গুলো মেনে এই সমস্যা থেকে প্রতিকারের ব্যবস্থা করা জরুরি। আর তাই মুড সুইং থেকে মুক্তির উপাইয়গুলো আমাদের প্রত্যকের ই জেনে থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন।তবে আর দেরি না করে এই প্রয়োজনীয়তা থেকেই জেনে নেওয়া যাক মুড সুইং থেকে মুক্তি উপায়সমূহ।

১।মানষিক সুস্থতার প্রতি সচেতন হওয়া।

২।পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা।

৩।ভিটামিন এবং মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া।

৪।পর্যাপ্ত ঘুম।

৫।পর্যাপ্ত বিশ্রাম।

৬।ভালোলাগার কাজ গুলো করা।যেমনঃগল্পের বই পড়া,বাগান করা,পছন্দের বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া ঘুরতে যাওয়া ইত্যাদি।

৭।অল্পতেই দুশ্চিন্তা বা প্যানিক করা থেকে বিরত থাকা।

৮।অবহেলা না করে মানষিক ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া।কাউন্সিলিং এর প্রইয়োজনীয়তা দেখা দিলে অবশ্যই কাউন্সিলিং করানো।

৯।নেগেটিভ বিশইয়গুলো এড়ইয়ে চলা।

১০।সর্বপরি মন খারাপ হইয় এমন বিষইয় পরিহার করে চলাই উত্তম।

লেখকের মন্তব্য

পরিশেষে বলা যায় জীবন একটাই।আর এই একজীবনে ভালো থাকা ভীষণই জ্রুরী।ভালো থাকা অর্থ শারীরিক এবং মানষিক উভইয় দিক ই ভালো থাকা।তার জন্য সচেতনতার বিকল্প আর কিছুই হতে পারেনা।এই সচেতনতা মুডসুইং এর জন্য ও প্রযোজ্য। যদিও আমাদের দেশে এখন ও অবধি খুব একটা গুরুত্ব প্রকাশ দেখা যায় না।তবে মনে রাখতে হবে গুরুত্ব এবং সচেতনতা জীবনকে সুন্দর করতে এক অব্যর্থ ভূমিকা পালন করে।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪