শীতে ঘর উষ্ণ রাখার উপায়
শীতের আগমনী বার্তা যেন জানান দিচ্ছে উষ্ণতাকে আলিঙ্গন করতে প্রস্তুতি নাও এখুনি।তাই হয়তো আমাদের মাঝে চিন্তার ছাপ যেন জেকে বসে শীত জেকে বসার আগেই। নানা ধরণের মোটা কাপড় পড়ে শরীর গরম রাখার কথা মাথায় আসলেও হিটার ছাড়া যেন ঘর গরম রাখার উপায় মাথায় আসেনা।আর রুম হিটার এর কথা মাথায় আসতেই মনে বাসা বাঁধে মাস শেষে ইলেক্ট্রিক বিলের বোঝার চিন্তা।তাই আজ আমরা আলোচনা করবো রুম হিটার ছাড়াই শীতে ঘর উষ্ণ রাখার উপায় সম্পর্কে।
এই শীতে বাড়তি খরচ কমিয়ে যদি ঘরের আদ্রতা ঠিক রেখে ঘর উষ্ণ বা গরম রাখা যায় তবে কিন্তু মন্দ হয়না বলুন।তবে আর দেরি কেনো আসুন তবে জেনে নেওয়া যাক শীতে ঘর উষ্ণ রাখার বেশ কয়েকটি তুলোনামুলক কম ব্যয়ের তবে কার্যকরী উপায় সম্পর্কে।
সূচীপত্রঃশীতে ঘর উষ্ণ রাখার উপায়
- ভূমিকা
- কিভাবে ঘর গরম ও শুষ্ক রাখা যায়
- সবচেয়ে কম খরচে ঘর গরম করার উপায় কি
- শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য কোন ইনসুলেশন ভালো
- শীতকালে রাতের বাড়ির তাপমাত্রা কত হওয়া উচিত
- কি কি খাবার খেলে শরীর গরম হয়
- লেখকের মন্তব্য
ভূমিকা
শীত মানেই যেনো ধোঁয়া ওঠা ভাপা পিঠার সাথে মজার মজার পিঠাপুলি খাওয়ার আমেজ।তবে এই আমেজের সাথে মৌলিক যে বিষয়টা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় তা হলো ঠান্ডার ছোবল থেকে নিজেকে এবং পরিবারকে রক্ষা করা।বিশেষত দিনশেষে যদি নিজের পরম যত্নের ঘরটা যদি উষ্ণতার আবেশ না পাওয়া যায় তবে তা যেনো শরীর এবং মনের ওপর ভিষন ই কষ্টদায়ক হয়ে উঠে বটে।আর তাই এবারের শীতে অপার খরচের বোঝা মাথায় না নিয়েই নিজের ঘরটাকে করে ফেলুন উষ্ণ এবং শান্তিদায়ক।ভাবছেন কীভাবে?তবে আসুন জেনে নিই শীতে ঘর উষ্ণ রাখার উপায়।
কিভাবে ঘর গরম ও শুষ্ক রাখা যায়
বাহারি রংঃ শীত থেকে বাঁচতে ঘরের পর্দা এবং বিছানার চাদরে রঙের পরিবর্তন নিয়ে এসে সহজেই শীতের ঘর উষ্ণ রাখতে পারেন। কেননা হালকা রঙের চেয়ে গাড়ো রং তুলনামূলক বেশি তাপ ধরে রাখে বেশি। তাই শীতকালে ঘর উষ্ণ রাখতে তুলনামূলক গাড়োর রং অনেক বেশি কার্যকরী হয়ে থাকে।
পর্দার কাপড়ঃ জানলার পর্দা সচরাচর যেটা ব্যবহার করেন শীতের সময় সেটার
পরিবর্তন নিয়ে এসে কিছুটা মোটা এবং পুরু সেই সাথে গাঢ়
রঙের পর্দার কাপড় ব্যবহার করলে বাইরে ঠান্ডা বাতাস তেমন একটা প্রভাব
ফেলবে না আপনার সুন্দর ঘরটায়। যার ফলে ঘর থাকবে উষ্ণ এবং মনোরম।
গরম পানিঃ শুনতে অবাক লাগলেও গরম পানি ঘর উষ্ণ রাখতে অত্যন্ত কার্য করে একটি পন্থা। ঘরের বিছানায় বোতলে রাখা গরম পানি রেখে দিতে পারেন, যে সময়টাই আপনি কাজে ব্যস্ত। গরম পানির এই পদ্ধতিটি চমৎকার কাজ করে আপনার বিছানা উষ্ণ রাখতে।
দরজা জানালা খোলা/বন্ধঃ অনেকেই মনে করেন শীতের সময় দরজা জানালা বন্ধ রাখাই ভালো। তবে এ ধারণা পুরোপুরি সঠিক নয়। বরং দিনের শুরুর দিকে দরজা জানালা খোলা রাখা ভালো। সেই সাথে বিকেলের দিকেই দরজা এবং জানালা বন্ধ করে দিতে হবে। এতে ঘরের তারতম্য বজায় রেখে ঘরে রাখা উষ্ণ এবং মনোরম।
আসবাবপত্রের পরিবর্তনঃ অন্য সময়ের চেয়ে শীতকালে আপনার ঘরের আসবাবপত্রের
অবস্থান পরিবর্তনের মাধ্যমে খুব সহজেই ঘর উষ্ণ রাখা যায়। যেমন আপনার বসার সোফা
কিংবা বেড জানালা কিংবা বাইরে থেকে ঠান্ডা আসে এমন স্থান থেকে কিছুটা দূরে
রাখা ভালো। সেই সাথে বাড়তি কিছু আসবাবপত্র যোগ করে ঘরের উষ্ণতা বজায় রাখা
যায়।
কার্পেটের ব্যবহারঃ শীতকালে বাসায় গার্হ রঙের কার্পেট
ব্যবহারের ফলে কার্পেট উষ্ণতা ধরে রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে
থাকে।
ফয়েল পেপারঃ ফয়েল পেপার এর ব্যবহার মূলত হয়ে থাকে খাবারের উষ্ণতার
তারতম ঠিক রাখার জন্য। তবে শীতকালে রান্না ঘরের কিছু অংশে ফয়েল পেপার
ব্যবহারের ফলে রান্নার সময় যে তাপ নির্গত হয় তা খুব সহজে বিকিরণ হয় না
ফলে ঘরের মধ্যে উষ্ণতার প্রভাব দেখা যায়।
বাবল র ্যাপিং এর ব্যবহারঃ বাবল রেপ ঘরের উষ্ণতা ধরে রাখে আর
তাই শীতকালে বাবল রা ব্যবহার বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
ফাঁকা স্থান বন্ধ করাঃ জানালার ফাঁকফোকর কিংবা দরজার ফাঁকা স্থান শীতের সময় যতটা সম্ভব বন্ধ রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। এতে বাইরে থেকে ঠান্ডা বাতাস প্রবেশ করতে পারে না বিধায় ঘরের তারতম বজায় রেখে ঘর থাকে উষ্ণ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url